নৌ পথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের ধারনা প্রদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফরের সময় মেরিন পুলিশের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তার আদলে তিনি বাংলাদেশেও মেরিন পুলিশ গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ২০১২ সালে মেরিন পুলিশ গঠনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশনার আলোকে ২০১৩ সালে ১২ই নভেম্বর অধিক্ষেত্রের বাধ্যবাধকতায় মেরিন পুলিশের নামটি পরিবর্তন করে নৌ পুলিশ নামে একটি বিশেষায়িত ইউনিট অনুমোদনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটে।
নৌ পুলিশ বিধিমালা ২০২০ এর বিধি ৭ অনুযায়ী নৌ পুলিশের কাযার্বলী নিম্নরূপ—
(ক) অধিক্ষেত্রে নৌ চলাচল, মালামাল পরিবহন, যাত্রী চলাচল, ব্যবসা—বাণিজ্য এবং আমদানি—রপ্তানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
(খ) অধিক্ষেত্রে চলাচলকারী সকল প্রকার নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রীবহন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং কোনো নৌ
স্থাপনা বা নৌযানে অবৈধ টোল আদায় বন্ধের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রদত্ত ক্ষমতার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(গ) ফেরি এবং ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, লঞ্চ টার্মিনাল, নৌ টার্মিনাল ও নোঙ্গর ঘাটসহ (berthing) সংশ্লিষ্ট যাত্রী বিরতি স্থানের আইন—শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ;
(ঘ) অধিক্ষেত্রে চোরাচালান, মাদক পাচার, মানব পাচার, অবৈধ অস্ত্র এবং অন্যান্য সংঘবদ্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
সন্ত্রাসের (Transnational organized crime) বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ;
(ঙ) নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্তকরণ, নাব্য নৌপথে বিঘ্ন সিৃষ্ট, নাব্য নৌপথের নাব্যতা পরিবর্তন, অবৈধ খনন, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, অবৈধ দখল ও ভরাট সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের চেষ্টার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(চ) নৌযানের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসসহ অন্য কোনো অনিয়মের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ছ) অধিক্ষেত্রের মধ্যে সুষ্ঠু নৌ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ;
(জ) নৌ দুর্ঘটনা রোধকল্পে নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ;
(ঝ) অধিক্ষেত্রে মৎস্য সম্পদ রক্ষা এবং সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রদত্ত ক্ষমতার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ঞ) অধিক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ট) অপরাধ প্রতিরোধকরণের লক্ষ্যে অধিক্ষেত্রে সংঘটিত অপরাধজনক ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং পুলিশের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইউনিটসমূহের সহিত উক্ত তথ্যাদি বিনিময় এবং
(ঠ) আইন, এই বিধিমালা, মহাপুলিশ পরিদর্শক বা সরকার কর্তৃক সময় সময় অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।